রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ব মানবতার জন্য রহমতস্বরুপ। উম্মতের ব্যথায় তিনি ব্যথিত হতেন। তাদের সমস্যার সমাধানে থাকতেন সক্রিয়। উম্মতের সমস্যা সমাধানে রয়েছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য মুজিজা। এমনই একটি মুজিজায় ঋণ থেকে মুক্তি পেল এক সাহাবি। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমার পিতা উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন এবং অনেক ঋণ রেখে যান। এ ঋণ পরিশোধের মতো কোনো সামর্থ আমার ছিল না। আমার কাছে পিতার রেখে যাওয়া সামান্য খেজুর ছিল।
ঋণ পরিশোধের সময় হলে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে আমার অবস্থান তুলে ধরি। তিনি আমাকে বললেন, খেজুরগুলো পৃথক পৃথক স্থানে স্তুপ করে রাখ।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বড় খেজুরের স্তুপের চারদিকে ৩ বার প্রদক্ষিণ করলেন অতঃপর এক স্থানে বসে গেলেন। তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, পাওনাদারদের ডাক।
এরপর পাওনাদাররা একের পর এক তাদের ঋণের পরিমাণ হিসাব করে বড় স্তুপ থেকে খেজুর নিয়ে গেল। আমি খুবই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট হতে থাকলাম এই ভেবে যে, (আমার পিতার) সব ঋণ পরিশোধ হয়ে যাচ্ছে।
আল্লাহ তাআলার অসীম কৃপায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে স্তুপের কাছে বসে ছিলেন; সে স্তুপের একটি খেজুরও হ্রাস পায়নি। (বুখারি)
এ ছিল প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ, দোয়া ও পবিত্র হাতের বরকত। এটি ছিল বিশ্বনবীর একটি অন্যতম মুজিজাও।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবীর আদর্শকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। তাঁর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তাওফিক দান করুন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের রহমত ও বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।